দারুচিনির ঔষধি গুণাবলি
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য খুব উপকারী উপাদান। এর অভাবে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বেড়ে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে। দারুচিনি শরীরে এই অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
ডায়াবেটিসের ওপর প্রভাব
দারুচিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হ্রাস করে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হৃদ্রোগের ওপর প্রভাব
দারুচিনি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপ কমায় ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট কোষের অকালমৃত্যু প্রতিহত করে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
স্নায়ুরোগের ওপর প্রভাব
মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ, যেমন পারকিনসনস ও আলঝেইমার প্রতিহত করে দারুচিনি।
সংক্রামক রোগের ওপর প্রভাব
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগ, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করে দারুচিনি। এ ছাড়া ছত্রাকের সংক্রমণ কমায়। ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগ, যেমন এইচআইভিতে উপকারী। দাঁতব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
চর্মরোগের ওপর প্রভাব
মুখের ব্রণ সারাতে সাহায্য করে দারুচিনি। ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতেও কার্যকর।
ওজনের ওপর প্রভাব
দারুচিনি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট–জাতীয় খাবার ধীরগতিতে হজমে সাহায্য করার মাধ্যমে মূলত এই উপকার করে।
খনিজ লবণের উৎস
দারুচিনিতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফেটসহ আরও কিছু খনিজ পদার্থ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, স্নায়ুর প্রদাহ কমায় এবং হাঁড় ও দাঁত মজবুত করে।
অতিরিক্ত দারুচিনি খেলে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে
লিভারের সমস্যা হতে পারে। ফুসফুস, কিডনি ও লিভারের ক্যানসার হতে পারে। মুখে ঘা হতে পারে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক কমে যেতে পারে।
রোজ কতটুকু দারুচিনি খাবেন
দারুচিনি মূলত অন্য খাবারের সঙ্গে খাওয়াই ভালো, অর্থাৎ মসলা হিসেবে। ১ চামচে ৭-১৮ মিলিগ্রাম দারুচিনি থাকে। রোজ দশমিক ১ মিলিগ্রাম দারুচিনি খাওয়া যায়।
Add comment