১. মানুষ আবেগে কেনাকাটা করে, পরে সেটাকে যুক্তি দিয়ে ‘জাস্টিফাই’ করে। তাই সম্ভাব্য ভোক্তার ‘মাইন্ডসেট’ আপনাকে বুঝতে হবে।
২. সবকিছুর ওপরে কোয়ালিটি। আধুনিক ক্রেতাদের কাছে প্যাকেজিংও গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি যে পণ্যটি দিচ্ছেন, সেটির অবশ্যই অভাব পূরণের সক্ষমতা থাকতে হবে।
৩. আপনি যে ব্যবসা-ই করেন না কেন, ব্যবসা শিক্ষার চেয়ে বেশি জরুরি মানুষের সাইকোলজি আর শরীরী ভাষা বুঝতে পারা। আর এগুলোর চেয়েও বেশি জরুরি মানুষকে আপনার কথায় রাজি করানো (‘কনভিনস’ করা)। অপর পক্ষের ওপর মানসিকভাবে প্রভাব বিস্তার করার গুণ ব্যবসার ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।
৪. মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ‘লিসেনিং’ খুবই জরুরি। সম্ভাব্য ভোক্তার কথা মন দিয়ে শুনুন। তাঁদের চাহিদা ও দাবি টুকে রাখুন। আস্থা অর্জন করুন।
৫. অনলাইনে মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহক হলো মিম!
৬. ভোক্তারা যে শব্দটিতে সবচেয়ে বেশি আস্থা রাখেন, সেটি ‘গ্যারান্টি’। ভোক্তাদের প্রিয় শব্দগুলোর ভেতর একেবারেই প্রথম দিকে আরও আছে ‘সেরা’, ‘ছাড়’ আর ‘অফার’।
৭. আপনার পণ্য যে খাঁটি, সেটির প্রমাণ হিসেবে ভোক্তাদের কাছে ছবি আর ভিডিও পৌঁছে দিন।
৮. মূল পণ্যের সঙ্গে আরও কিছু দিন। পণ্যের মানের সঙ্গে আপস নয়, ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করুন।
৯. আপনার মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো একজন সন্তুষ্ট ভোক্তা।
১০. সমানুভূতির সঙ্গে মার্কেটিং করুন। মার্কেটিংয়ের হাত ধরে একটা গড়পড়তা পণ্যও ভালো পণ্যকে মার্কেট থেকে সরিয়ে দেয়।
১১. আপনার ভালো একটা পণ্য খারাপ একটা মার্কেটে রাখা মানে অনেকটা যুদ্ধে হেরে যাওয়ার মতো।
১২. আপনার ‘মার্কেটিং স্পিচ’ কখনোই দুই মিনিটের বেশি হবে না। চেষ্টা করুন, সেটাকে দেড় মিনিটের ভেতর সেরে ফেলতে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি যা বলতে চান, সেটা এক মিনিটের মধ্যেই সেরে ফেলতে পারেন। শক্তিশালী শব্দ ব্যবহার করুন।
১৩. ঝুঁকি নিতে পিছপা হবেন না। এমন কিছু করুন, যেটা আগে কেউ করেনি।
১৪. ব্যবসা মানে কেবল হুট করে টাকা উপার্জন নয়। বরং সম্মান আর ব্র্যান্ড ভ্যালু বেশি জরুরি। তাই টাকার জন্য নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম খারাপ করবেন না।
১৫. ব্যর্থতাকে মেনে নিন। সব সময় নম্র থাকুন।
Add comment