বই কেন আপনাকে পড়তেই হবে

বই পড়ার সময়ও যেন এখন আর অনেকের নেই। একটা বই পড়ার চেয়ে একটা রিল, ইউটিউব ভিডিও কিংবা একটা মুভি দেখতেই যেন সবাই আগ্রহী।

আপনার পড়া যদি শুধু সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস, ১০টা পয়েন্টে বইয়ের সারসংক্ষেপ, কিংবা ব্লগ স্ক্যান করে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তবে বলতেই হচ্ছে, আপনি কী মিস করছেন, আপনি জানেন না। চলুন জেনে নিই, শুধু বই পড়েই নিজের কী কী উপকার করতে পারেন আপনি?

জানা যায় অনেক কিছু

বই পড়লে যে অনেক কিছু জানা যায়, তা আমরা সবাই জানি। তবে একটা ভিডিও বা ব্লগ পড়েও আমরা জানতে পারি অনেক কিছু। কিন্তু কোনো ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে বইয়ের বিকল্প নেই। ইলন মাস্ককে একটা ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কীভাবে রকেট বানানো শিখলেন? মাস্ক উত্তরে বলেছিলেন, ‘বই পড়ে।’ তাই কোনো কিছু শিখতে বা জানতে হলে হাতে নিন সে বিষয়ের একটি ভালো বই।

মনোযোগ বাড়ায়

সোশ্যাল মিডিয়ার ছোট ছোট স্ট্যাটাস আর রিলসের যুগে দিন দিন কমছে আমাদের মনোযোগ। সেই সঙ্গে কমছে আমাদের কাজে মনোনিবেশ করার ক্ষমতা। এই খারাপ অভ্যাস থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারে বই। প্রতিনিয়ত ঘণ্টাখানেক বই পড়ার চেষ্টা করুন। মনোযোগ বাড়বে।

মস্তিষ্ক থাকে সচল

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন বই পড়া অবস্থায় সচল হয়ে ওঠে মানুষের মস্তিষ্ক। কারণ, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর মধ্যে দ্রুত সিগন্যাল চলাচল করতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এতে বৃদ্ধ বয়সে আলঝেইমারের মতো ভুলে যাওয়া রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।  

কল্পনাশক্তি বাড়ে

বই পড়লে আপনাকে কল্পনা করতেই হবে। একবার ভাবুন তো, ছোটবেলায় হ্যারি পটারের বইগুলো পড়ার অনুভূতি। সবাই যেন হতে চাইত জাদুর স্কুল হগওয়ার্টসের ছাত্র। আবার মিসির আলী বা ফেলুদা পড়ে নিজেই যেন হয়ে উঠতাম সেই যুক্তি আর বুদ্ধি দিয়ে কেস সলভ করার মানুষটি।

অনেক দিন ধরে হয়তো একটা বই পড়া হচ্ছে না। চাইলে আপনি এই হোটেলে গিয়ে নিরিবিলি আপনার প্রিয় বইটাও পড়তে পারেন

আরও মানবিক, সহানুভূতিশীল

বই আমাদের সামনে খুলে দেয় নতুন দুয়ার। কখনো আমাদের ধারণাকে করে প্রশ্নবিদ্ধ, আমাদের ভাবতে বাধ্য করে নতুন করে। নিজের চারপাশের বাইরেও যে কত ধরনের জীবন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আছে, বই পড়লেই তা যেন আমরা অনুভব করতে পারি। এতে বই অন্য মানুষের প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়ার ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যের দুঃখ বুঝতে সাহায্য করে, মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে।

মানসিক চাপ কমায়

যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের ওপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা প্রতিদিন বই পড়েন, তাঁরা মানসিক সমস্যায় কম ভোগেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বই পড়লে রক্তচাপ কমে, হার্ট ভালো থাকে। মানসিক অবসাদ কমে।

Developer

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.