একটি-দুটি নয়, আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নীতিমালার সাত-সাতটি ধারা ভঙ্গ করেছেন মেহার ছায়াকর নামের এক ভারতীয় ক্রিকেটার। ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমানো সেই ক্রিকেটার বড় শাস্তিই পেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) ম্যাচ পাতানোর দায়ে ১৪ বছর নিষিদ্ধ করেছে ছায়াকরকে।
আইসিসি অনুমোদিত দুটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ম্যাচ পাতানো বা ফিক্সিংয়ের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ছায়াকরের বিরুদ্ধে। সেই দুই প্রতিযোগিতার একটি ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওয়ানডে সিরিজ। অন্যটি একই বছরে কানাডায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ছায়াকরকে নিষিদ্ধ করার খবর। সেই বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানিয়েছেন কীভাবে ছায়াকরের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা, ‘আমরা মেহার ছায়াকরের খবর প্রথম জানতে পারি ২০১৮ সালে, আজমানে একটি ‘পাতানো’ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলেন তিনি। আমাদের খেলাটাকে কলুষিত করার চেষ্টা এরপর ছায়াকর নিয়মিতই করে গেছেন। এ সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতেই তাঁকে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
ছায়াকরের শাস্তি ক্রিকেটে দুর্নীতির প্রকোপ কমাবে বলেই বিশ্বাস অ্যালেক্স মার্শালের, ‘যারা ক্রিকেটকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ১৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইসিসির ট্রাইব্যুনাল এই বার্তাটিই দিয়েছে যে আমাদের খেলাটাকে কলুষিত করার পরিণাম কী হতে পারে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে অবশ্য ছায়াকর বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনো ‘সত্যতা নেই’। ভারতে জন্ম নেওয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা ছায়াকরের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি ও তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।
ছায়াকর অবশ্য ২০১৯ সালের সেই ঘটনায় এর আগে আমিরাতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নাভিদ ও ব্যাটসম্যান শাইমান আনোয়ার আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন কাদির আহমেদ আরেক ক্রিকেটার। এই তিনজনকে শাস্তি দেওয়া হয় ২০২১ সালের মার্চে। আর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আরেক আমিরাতি ক্রিকেটার গুলাম সাব্বির। এঁদের মধ্যে কাদির ও সাব্বির ছায়াকরের কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।