কর ছাড় বা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিলেই শেয়ারবাজার চাঙা হয়ে যাবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সরকার এর আগে বিতর্কের মুখে পড়েছে।
আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে আজ বুধবার দুপুরে সিলেটে আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকার একটি রেস্তোরাঁ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিরীক্ষা জন্য আমরা সেকেন্ডারি ডাটাবেজ অডিট সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছি। এটি চালু হলে নিরীক্ষা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সহজ হবে। সিলেট চেম্বারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে বাজেট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। এসব প্রস্তাবনার বেশির ভাগই অঞ্চলভিত্তিক। কিন্তু আমাদের বাজেট করতে হয় পুরো দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়। তাই সব প্রস্তাব আমাদের পক্ষে বিবেচনা করা সম্ভব হয় না।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, সামউদ্দিন আহমেদ ও জাকিয়া সুলতানা। প্রাক্-বাজেট আলোচনায় সিলেটের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটরের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেনসহ সিলেট বিভাগের চারটি চেম্বারের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ী নেতারা বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ভোগ্যপণ্য পরিবেশকদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় না করা, বিসিকের শিল্পমালিকদের ভ্যাট কমানো, স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ইটভাটার মালিকদের ভ্যাটের কিস্তি পরিশোধের সময় বড়ানো, অনলাইনে কোর্ট ফি আদায়ের ব্যবস্থা করা, ভ্যাটের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনা ইত্যাদি।
প্রাক্–বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেটে তেমন কোনো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। এ কারণে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য মূলত আমদানি, পর্যটন ও ট্রেডিং ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। এ জন্য সিলেটের ব্যবসায়ীরা করোনার সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ভয়াবহ বন্যা ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সিলেটের ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে রয়েছেন।