রিচার ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতের কাছেও হার বাংলাদেশের

পাওয়ারপ্লে শেষে ভারতের রান ছিল ৩৫, ফিরে গেছেন তিন ব্যাটার—যষ্টিকা ভাটিয়া, শেফালি বর্মা ও হারলিন দেওল। সেই ভারতই ২০ ওভারে তুলল ৫ উইকেটে ১৮৩ রান! চারে নামা রিচা ঘোষ খেলেছেন ৫৬ বলে ৯২ রানের অপরাজিত ইনিংস, ৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৯টি ছক্কা। বোলিংয়ের শুরুতে তৈরি করা চাপ যেমন বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারেনি, ব্যাটিংয়েও সে অর্থে তুলতে পারেনি ঝড়। বড় রান তাড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩১ রান তুলে থেমেছে নিগার সুলতানার দল। পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটের পর এবার ভারতের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫২ রানের বড় ব্যবধানেই হারল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত ইনিংসে যষ্টিকাকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত করেন মারুফা আক্তার। এরপর নাহিদা আক্তারের দুই ওভারে ফিরতে হয় শেফালি ও হারলিনকেও। বাংলাদেশকে এরপর হতাশ করে চলে রিচা ও জেমিমা রদ্রিগেজের জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুজন ৬৬ বলেই যোগ করেন ৯২ রান। ২৭ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলা জেমিমাকে ফেরান জাহানারা আলম। রিচা অবশ্য ছিলেন শেষ পর্যন্ত। মাঝে দেবিকা বৈদ্য দ্রুত ফিরলেও পূজা বস্ত্রকরের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ১২ বলে যোগ করেন ৪৬ রান।
সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে পেসার জাহানারার ওপর দিয়ে। ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৫৪ রান। অফ স্পিনার সালমা খাতুন অবশ্য ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
রান তাড়ায় পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ হারায় শামীমা সুলতানা ও সোবহানা মোস্তারির উইকেট। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন দুজনই—রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের বলে ক্যাচ দেন শামীমা, সোবহানা বোল্ড হন দীপ্তি শর্মার বলে।

মুর্শিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগারের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ২৯ রান। ৩২ বলে ৩২ রান করে ফেরেন মুর্শিদা খাতুন। তবে একদিকে নিগার টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তে বাংলাদেশ উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। রান ও বলের ব্যবধানের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারেনি তারা। নিগার ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে করেন ৩৬ বলে ৪০ রান। সাতজন বোলার ব্যবহার করে ভারত, উইকেটের দেখা পান ছয়জনই।

১০ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে শুরু হচ্ছে নারী বিশ্বকাপের মূল আসর। ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের।

 

Mr Abraham

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.