বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা তাদের মডেল সেডান ৩ ও ওয়াই ক্রসওভারের মূল্য পরিবর্তন করেছে। এ নিয়ে চলতি বছর চারবার মূল্য সমন্বয় করল টেসলা।
ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, টেসলা তাদের রিয়ার হুইল মডেল সেডান ৩–এর দাম ৫০০ মার্কিন ডলার কমিয়েছে। ফলে এই মডেলের গাড়ির দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯৯০ মার্কিন ডলারে। এটিই টেসলার সবচেয়ে কম দামি মডেল। তবে ওয়াই মডেলের গাড়ির দাম ১ হাজার মার্কিন ডলার বাড়িয়ে ৫৮ হাজার ৯৯০ মার্কিন ডলার করেছে। তা সত্ত্বেও এর দাম জানুয়ারি মাসের তুলনায় কম।
এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন বড় বাজারে কিছু মডেলের গাড়ির দাম ব্যাপক হারে কমিয়েছে টেসলা।
সাধারণত গাড়ির গায়ে সাঁটানো স্টিকারে যে মূল্য লেখা থাকে, সেটাই তার আদর্শ মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু কোম্পানিটি যেভাবে অনলাইনে দাম পরিবর্তন করছে, তা স্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ওয়াই মডেলের গাড়ির মূল্যবৃদ্ধির পরও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তার দাম এখনো জানুয়ারির তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। আর রিয়ার–হুইল–ড্রাইভ মডেলের দাম ৯ শতাংশ কম।
টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক বলেছেন, দাম কমানোর পরে গত মাসে গাড়ির কার্যাদেশ দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁরা মডেল ওয়াইয়ের দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন।
এর আগে মাস্ক বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোয় ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহার ও গাড়ির বাজারে মন্দার পূর্বাভাসের মধ্যে চাহিদা চাঙা রাখতে টেসলা এভাবে দাম কমাচ্ছে। এতে অবশ্য মুনাফা কমে যাবে।
এদিকে চীনে টেসলার ব্যবহারকারীরা সাম্প্রতিক এই মূল্য হ্রাসে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, তাঁরা আগে গাড়ি কেনায় সঞ্চয় করতে পারেননি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে টেসলা ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, টেসলা এভাবে দাম কমানোর কারণে তাঁদের গাড়ির বিক্রয়মূল্য কমেছে।
গত বছর রেকর্ড ১৩ লাখ ইউনিট গাড়ি সরবরাহ করেছে টেসলা, যা ২০২১ সালের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ইউনিটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাতেও ইলন মাস্কের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তিনি চান, বছরে ৫০ শতাংশ হারে গাড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি পাক। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে গত বছর টেসলাকে ১৪ লাখ ইউনিট গাড়ি সরবরাহ করতে হতো। সেখানে টেসলার গাড়ি সরবরাহ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় গাড়ি বিক্রি বাড়াতে মূল্যছাড়ের মতো আগ্রাসী নীতি গ্রহণ করছে তারা।